Jaijaidin

চিন্ময় দাসের জামিন চেম্বারে স্থগিত

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আরশাদুর রউফ।

গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সঙ্গে জামিন স্থগিতের আবেদন পুনরায় শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করা হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছিলেন, চেম্বার বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আসামির আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন। তারপর আদেশ দেবেন।

এর আগে, এদিন দুপুরে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

পরে জামিন স্থগিত চেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়।

ওই সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরো ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরো একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *