Jaijaidin

প্রভাবশালীদের নির্যাতনের শিকার গাড়ি চালক ইছমাইলের পরিবার

Shah Alam Soulav
3 Min Read

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানীনগরে হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজানো মামলা দিয়ে দুই ভাইকে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন তাদের পিতা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের মাটিয়াখাড়া গ্রামের গাড়ি চালক ইছমাইল হোসেন। শনিবার বিকালে ওসমানীনগর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মামলা থেকে অব্যাহতি, পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রভাবশালীদের নির্যাতনের শিকার তার পরিবার। বাড়ি ঘরে হামলা লুটপাট, গাড়ি-মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত করা হয় তার দুই ছেলেকে।

বিগত ১৬মার্চ দুপুরে বাড়ির পাশে জমিতে বাধা অবস্থায় তার একটি ষাঁড় পার্শবর্তী শাহজাহানপুর গ্রামের ফাহিম মিয়া, নাহিদ মিয়া, দিলদার মিয়া চুরি করে অনত্র্য বিক্রি করে দেয়। ষাঁড় ফেরত দেয়ার জন্য তাদের কাছে অনুরোধে করেন ইছমাইল হোসেনের পুত্র আলী হোসেন। এরই জের ধরে ১৮মার্চ রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহজাহানপুর গ্রামের রুস্তুম মোল্লার নেতৃত্বে ইছমাইল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় তার দুই ছেলে এমরান হোসেন ও আলী হোসেন ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়। প্রাণ রক্ষার্থে কঠালপুর গ্রামের ফিরুজ আলীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় তারা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুত্বর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এসময় ঘরে প্রবেশ করে ইছমাইল হোসেনের ২ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার লুট ও বাড়ির উঠানে রাখা ঢাকা মেট্রো গ ১৩-৫৯২৯ প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল সিলেট হ ১৪-৬৪১০ভাংচুর করে। এই ঘটনায় তার পুত্র আলী হোসেন বাদি হয়ে ১২জনের নাম উল্যেখ করে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৯৫/২৫। মামলাটি আমলে নিয়ে ওসমানীনগর থানায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, শাহজানহানপুর গ্রামের ফাহিম মিয়া, নাহিদ মিয়া, দিলদার মিয়া, বশির মিয়া, এলাইছ মিয়া, রুস্তুম মোল্লা, মাঠিয়াখাড়া গ্রামের টিপন মিয়া, রিপন মিয়া, শিপন মিয়া, খালেদ মিয়া, আওলাদ মিয়া ও চমক আলী।
ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংখিত থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, হামলা করে উল্টো থানায় মামলা দিয়ে তার পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে। সাজানো মামলা থেকে ছেলেদের অব্যাহতি, জুরপূর্বক নেয়া ষাঁঢ় গরু ফিরে পাওয়াসহ হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি।

এদিকে ইছমাইল হোসেনের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মামলার বাদী ইলাছ মিয়া বলেন, আলী হোসেন ও এমরান হোসেন আমাদের ৭টি গরু জুরপূর্বক নিয়ে গেলে আমি বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস.আই মোফাজ্জল হোসেনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি থানার অফিসার ইনচার্য ওসি‘র সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মো:মোনায়েম মিয়া বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যদি আদালতে পৃথক মামলা হয়ে থাকে এবং থানা পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *