বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা এখনো নেই। কিন্তু আপনাদের কথাবার্তা, আপনাদের চালচলন মানুষকে কিন্তু বিরক্ত করে তুলেছে। এই কাজগুলো আপনারা করবেন না। আপনারা অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, এইটা শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সেই কেড়ে নেওয়া নির্বাচনের ধারায় যদি আপনারাও চলেন তাহলে জনগণ মনে করবে শেখ হাসিনার গায়ের বাতাস আপনাদের শরীরেও লেগেছে। তাই ওই কাজ করবেন না।’
রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তারিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় দিন। এর মধ্যে অনেক কাজ করা যায়। আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কার করতে বেশি সময় লাগে না। দশ মাস সময় চলে গেছে। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, আরও অনেক সময় বাকি আছে। এত সময় লাগার তো কথা না।
রিজভী বলেন, ‘আজকে জনগণের কর্তৃত্ব নেই, আজকে নির্বাচিত সরকার নেই। আজকে জনগণ ভোট দিতে পারছে না। প্রায় ১৭–১৮ বছর জনগণ তার মনোনীত সরকার পায়নি বলেই কোনো জায়গায় প্রশাসন তার কর্তৃত্ব ফলাতে পারছে না। পুলিশ কোনো কাজ করতে পারছে না, পুলিশ নির্লিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সে কারণেই একের পর এক সমাজবিরোধী কাজ, হত্যা, সন্ত্রাসী কাজ, খুন রাষ্ট্রে লেগে আছে। এগুলোর জন্য আমাদের আরও প্রতিবাদ করতে হবে, আরও জাগ্রত হতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আপনার বিরুদ্ধে নই। আপনার প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা কথা বলি। কিন্তু আপনার উপদেষ্টারা যখন বড় বড় কথা বলে, তখন আমাদের কথা বলতে হয়। আপনার একজন উপদেষ্টা বললেন, আমি যদি বিদেশি নাগরিক হই তাহলে তারেক রহমানের বেলাতেও তো সেই কথা থাকবে। আরে বেটা, ইয়াকুবের বেটা বেকুব, সে কোন স্ট্যাটাসে বিদেশে আছে? সে তো জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। তারেক রহমান দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতেন।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, ‘এখন তো শেখ হাসিনা নেই, তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই, তারপরও কৃষকদল নেতা তারিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে কেন? বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।