যাযাদি রিপোর্ট
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।
সোমবার ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড ( ডেসকো ) কর্তৃক ঢাকার নিকুঞ্জ কনভেনশন হলে আয়োজিত ‘সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার’ শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেসকোর চেয়ারম্যান এবং সচিব ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (পিপিপি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে পুরো জাতি উপকৃত হবে। মত বিনিময় সভাটি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করার দুইটি কারণ আছে। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুতের বড় গ্রাহক। দ্বিতীয়ত শিক্ষকরা যদি ২ মিনিটও আলোচনা করে শিক্ষার্র্থীদের মনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি গেঁথে দিতে পারেন, তবে জাতি বিরাট উপকৃত হবে। কারণ তারা শিক্ষা জীবনে এবং কর্ম জীবনে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবেন। তাহলে হয়তো এখন যেমন সরকারকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ৫ টাকা করে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তখন হয়তো আর দিতে হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম আহমেদ বলেন, আপনি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করলে তা অন্যের চাহিদা পুরণ করবে। ডেসকো’র নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) মো. কামরুল ইসলাম সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং প্রি-পেইড মিটারের ওপর জনসচেতনতামুলক স্লাইড প্রদর্শন করেন।
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিবেক আর এথিক্স কে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে’। বিজিএমইএ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, অধ্যাপক সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কনফিউশনগুলো সহজভাবে জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হবে। সুইচের ক্ষেত্রে অটোমেশন টেকনোলজি নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে নির্দিষ্ট সময় পর সুইচ অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহী পরিচালক অপারেশন ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী জুলফিকার তাহমিদ, নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশল ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী মো. মনজুরুল হক।
সভা শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারলে তাদেরকে ইনসেনটিভ দেয়ার আশ্বাস দেন ডেসকোর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডেসকোর আওতাধীন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও ডেসকো’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।