Jaijaidin

আমাদের লড়াইটা শেষ হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে : দুদু

Shah Alam Soulav
4 Min Read

বিশেষ প্রতিনিধি

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করেছি। লড়াইটা এখনো আছে,এখনো রাজপথে আছি। সেই লড়াইটা শেষ হবে একটি সুষ্ঠু,সুন্দর, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচন যে পর্যন্ত না হয় সে পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা চালু আছে এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

শনিবার ৩ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তর ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে সুনীল গুপ্ত স্মৃতি সংসদ।

দুদু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যাকে সমর্থন দিচ্ছি তিনি হচ্ছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। ৩০ শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থনের কারণে। বিএনপি যদি সমর্থন প্রত্যাহার করে তারপরে কি হবে তিনি কিন্তু তা বুঝতে পারছেন না। বা তাকে বুঝতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমরা তাকে সমর্থন করি যেন দেশে একটি ভালো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু এখন নির্বাচনের কথা বললে মনে হচ্ছে বড় অপরাধ।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, কেউ কেউ বলেন কোন দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাদেরকে বলি যদি কোন দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় না আসে তাহলে কে ক্ষমতায় আসবে,সামরিক ? তারা যদি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে দেখবে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণে আর দ্বিতীয় কোন পথ নাই।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশকে বহির শত্রু থেকে বাঁচাতে হলে। দেশের ভিতরে যেসব শত্রু আছে তাদের মোকাবেলা করতে হলে। বাংলাদেশকে বিকশিত করতে হলে। সত্যিকারের বাংলাদেশের রূপান্তরিত করতে হলে একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার। সেই রাজনৈতিক সরকার আসবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আমি বলছি না বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। যে দলে ক্ষমতায় আসুক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হতে হবে। এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কাজ করবে।

একদল আছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানতে চাইনি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে। তারা যেন বাংলাদেশের এখন সবকিছু বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দেশের সবাই জানে, আমরাও জানি বিএনপি ছাড়া এই দেশে আর দ্বিতীয় কোন দল নাই যারা ক্ষমতায় আসবে। যারা দেশের গণতন্ত্র পুনর প্রতিষ্ঠা করবে। যারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়। তাদেরকে বলব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সুনীল গুপ্ত এদের দিকে তাকান তাহলে বুঝবেন রাস্তা সোজা নাকি আকাবাকা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করেছি। লড়াইটা এখনো আছে,এখনো রাজপথে আছি। সেই লড়াইটা শেষ হবে একটি সুষ্ঠু,সুন্দর, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচন যে পর্যন্ত না হয় সে পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা চালু আছে এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তর স্মৃতিচারণ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন,সুনীল গুপ্ত ইতিহাসের পাতায় জাতীয়তাবাদীর প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম দিকপাল। তাকে স্মরণ করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করার মতই। মাওলানা ভাসানী, সুনীল গুপ্ত, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, ইনাদের রাজনৈতিক জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের বিষয়গুলোকে আমরা যত এড়িয়ে যাব আড়াল করব বাংলাদেশ তত ভঙ্গুর হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু,বিজন কান্তি সরকার, ভাষানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার,দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সহ প্রমুখ।

TAGGED:
Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *