বিশেষ প্রতিনিধি
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনই দেশে ফিরছেন না। আরও কয়েক সপ্তাহ ছেলের বাসায় থাকার পর তিনি দেশে ফিরতে পারেন। আপাতত তিনি তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন। চিকিৎসার চূড়ান্ত ফলোআপ শেষ করেই তার দেশে ফেরার তারিখ ঠিক করা হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডাম অনেকটা ভালো আছেন। ছেলের বাসায় চিকিৎসা চলছে। কয়েক দিন পর হয়তো আবারও ফলোআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। চূড়ান্ত ফলোআপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না, তিনি কবে দেশে ফিরবেন। তিনি লন্ডন ক্লিনিকে সেরা চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেখানে বিশ্বখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। পুরো শরীর চেকআপ করা মানে অনেকটা আরোগ্য লাভ করা। ম্যাডাম না ফিরলেও সপ্তাহখানেকের মধ্যে কয়েকজন সফরসঙ্গী চিকিৎসক দেশে ফিরবেন। বাকিরা শেষ পর্যন্ত থেকে যাবেন ম্যাডামের সঙ্গে। দেশে ফিরে তারা জুমে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।
তিনি জানান, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে খালেদা জিয়া আনন্দে সময় পার করছেন। বেশ খোশমেজাজে আছেন তিনি। খালেদা জিয়ার মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। শিগগিরই তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে ছেলে তারেক রহমান চাচ্ছেন রোজার ঈদ পর্যন্ত খালেদা জিয়া লন্ডনেই থাকুন।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসা প্রায় শেষ। দেশে ফেরার আগে তাকে শেষবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে লন্ডন ক্লিনিকে। কিডনিতে যে সমস্যা ছিল তার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। অন্য জটিলতাও কমছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
টানা ১৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডন ক্লিনিক থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।