যাযাদি ডেস্ক
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) বেলা ৩টার দিকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে এনসিপি ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটোবড় মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশ জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরাও অংশগ্রহণ করেছেন।
বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সমাবেশের মঞ্চে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আকতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ মে) এক ভিডিও বার্তায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিক্ষোভ সমাবেশের কথা জানান।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মাটি থেকে মুজিববাদ নামক ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা উৎখাত করেছিল।
কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখছি, এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও সে আওয়ামী লীগের ব্যানারে দলের লোকেরা বাংলাদেশের মাটিতে মিছিল করার সাহস পায়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা বা বিচার কার্যক্রমকে দৃশ্যমান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
৫ আগস্টের পর থেকে আমরা ছাত্রজনতা বলে আসছি, আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে।
এবং বাংলাদেশে কয়েকটি গণহত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত। পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে হেফাজতের শাপলা হত্যাকাণ্ড, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকেরা গুম খুন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন।
এসব কিছুর বিচারের জন্য এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। সেটুও আমাদের সামনে দৃশ্যমান নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। যুবলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।