যাযাদি রিপোর্ট
গত ঈদুল আজহার আগে ও পরে মাত্র ১২ দিনে সারাদেশে ২১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১৫ জন নিহত এবং ২৭৮ জন আহত হন। সড়ক মহাসড়ক মেরামত ও সংস্কার না করার কারণে এবার সড়ক দূর্ঘটনার বাড়ার সঙ্গে বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা। প্রাণহানি কমিয়ে আনতে সরকারের প্রতি ৯টি সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।
মঙ্গলবার ঢাকার শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ ৯ টি সুপারিশ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বরাত দিয়ে ইকবাল মাসুদ জানান, গত ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে ও পরে সারাদেশে ৮ দিনে ১১০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হন।
মাত্র প্রায় আড়াই মাসের ব্যবধানে গত বছরের ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে ২১৬ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ২১৫ জন নিহত ও ২৭৮ জন আহত হন। যা ঈদুর ফিতরের তুলনয় অনেক বেশী। সে হিসেবে আসন্ন ঈদুল আজহায় সড়ক দূর্ঘটনার সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এজন্য সরকারের উচিত সকল সড়কের গতি নির্ধারণ করা। চালকদের কর্মঘন্টা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। যাতে চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেন। সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, টেম্পুসহ সকল প্রকার ব্যাটারিচলিত যানবাহন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করা। সেই সঙ্গে ধীরগতির যানবাহন ও দ্রুত গতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা। পথচারী পারাপার নিরাপদ করা। এজন্য ফুটপাত হকারমুক্ত করা, ফুটপাত ও ফুটওভারব্রীজ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা, রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়া। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা। সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেলে জন্য আলাদা লেন করা। ফিটনেসহীন যানবাহন অপসারণ করা। নেশা করে গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালকসহ যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহার করা। গাড়িতে শিশুদের জন্য সরক্ষিত সিট নিশ্চিত করা। সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় করে ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা। সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স^াস্থ্য সেক্টরের কমিউনিকেশন অফিসার তরিকুল ইসলাম ছাড়াও নানা মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।