Jaijaidin

এটিএম কার্ড ব্যবহারে সাবধান!

Shah Alam Soulav
12 Min Read

গাফফার খান চৌধুরী

ঈদ উপলক্ষে সক্রিয় নানা ধরণের মৌসুমী অপরাধী চক্র। একটি চক্রের টার্গেট এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনকারীরা। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে কাছে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। জিম্মি করে তার কার্ড দিয়ে সব টাকা তুলে নেয়। চক্রটি সবচেয়ে বেশী সক্রিয় রাতে। এছাড়াও নানাভাবে এটিএম কার্ডধারীদের অনেকেই প্রতারনার শিকার হন। তাই এটিএম কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটিএম কার্ড ব্যবহারে অবশ্যই বাড়তি সর্তকর্তা অবলম্বন করতে হবে। অন্যথায় অপহরণ ও কার্ড ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে রাতে নির্জন কোন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে অবশ্যই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ নির্জন এটিএম বুথগুলোর সামনে বিলাসবহুল দামি গাড়ি নিয়ে অপহরণকারীরা অপেক্ষা করতে থাকে। তারা পোশাকে থাকে কেতাদুরস্ত। যে কেউ দেখে বুঝতেই পারবেন না, তারা অপরাধী। মুলত তারা অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বুথ থেকে খানিকটা দুরে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করতে থাকে। বুথ থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে। তবে সবাইকে না। যাদের এটিএম বুথে বেশী টাকা থাকার সম্ভবনা আছে, মুলত তাদেরকেই টার্গেট করে।

সূত্রটি বলছে, চক্রের সদস্যদের সংখ্যা থাকে চালকসহ ৩ থেকে ৪ জন। তাদের সবাই গাড়ির ভেতরে থাকে। মাত্র একজন গাড়ির পিছনের দরজা খুলে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কোন কোন সময় পায়চারি করতে থাকে। তাদের ভাবখানা এমন যে তারা কোন বাসার ঠিকানা বা কারো জন্য অপেক্ষা করছে। বুথ থেকে টাকা তুলে বের হওয়ার সময় টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সালাম দেয়। এরপর খানিকটা কাছে ডেকে নিয়ে কোন ঠিকানা সর্ম্পকে জানতে চায়। অনেকেই ভদ্রলোক ভেবে ভ’ল করেন। তাকে ঠিকানা বলে বা রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করেন। ঠিক সেই মুর্হুতেই ঘটে যায় অপহরনের ঘটনা। চোখের পলকে আচমকা ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত অপহরকারী চক্র ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। দামি গাড়িতে সাধারণত কালো কাঁচ থাকে। স্বাভাবিক কারণেই বাইর থেকে কোন কিছু দেখা যায় না। গাড়িতে উচ্চস্বরে গান ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথমে অপহৃত ব্যক্তি চিৎকার করার চেষ্টা করেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হয় না। কারণ গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজার কারণে বাইর থেকে কিছুই শোনা যায় না। আর গাড়িতে তোলার সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ স্কচটেড বা কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুত্রে জানা গেছে, নির্জন জায়গায় নিয়ে অস্ত্রের মুখে বা মারধর করে এটিএম কার্ডেও গোপন পিন নম্বর জেনে নেয়। এরপর সুবিধাজনক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা শুরু করে। প্রতিটি এটিএম কার্ডে কি পরিমাণ টাকা একদিনে উত্তোলন করা যায়, তা নির্ধারিত থাকে। টাকা যত বেশী থাকবে, অপহৃত ব্যক্তিকে তত বেশী দিন আটকে রাখে অপহরণকারীরা। টাকা তোলা শেষ হওয়ার পর অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আদায় করে। আর তাতে সুবিধা করতে না পারলে অনেক সময় অপহৃত ব্যক্তিকে মারধর করে বা হত্যা করে বা নেশার ওষুধ খাইয়ে দিয়ে নির্জন কোন জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঢাকায় এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এমন অপহরণকারীদের শিকার হয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের এক শিক্ষককে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তার এটিএম কার্ডে থাকা টাকা ছাড়াও পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে সোয়া লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিনব এক অপহরণকারী চক্র। পরে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দিয়ে তাকে খিলক্ষেত এলাকায় ফেলে দেয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তিনি ঢাকার কলাবাগান এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সুত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ মোতাবেক এটিএম বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি বুথে চব্বিশ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরী রাখতে সব ব্যাংককে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুখে মাস্ক বা হেলমেট বা মুখ ঢেকে কেউ যাতে বুথ থেকে টাকা তুলতে না পারে, এজন্য নিরাপত্তা প্রহরীদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এই নিয়ম অবশ্যই পালন করার বাধ্যবাধকতা আছে। যদিও শতভাগ তা কার্যকর হচ্ছে না। নিরাপত্তা প্রহরীদের ম্যানেজ করে অনেকেই মুখ ঢেকে টাকা তুলে। বিশেষ করে এমন ঘটনা বেশী ঘটে শীত মৌসুমে। অপরাধী চক্র শীতের দোহাই দিয়ে মুখ ঢেকে টাকা তুলে। এটি সংশ্লিষ্ট বুথের ব্যাংকের বিষয়। এছাড়া প্রতিটি এটিএম বুথে এন্টি স্কিমিং ডিভাইস বসানো বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। তারপরেও নানাভাবে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যদিও তা আগের তুলনায় অনেক কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এটিএম বুথে এন্টি স্কিমিং ভিভাইস বসানো বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। তারপরেও এখনো শতভাগ কার্যকর হয়নি এমন নির্দেশনা। এমন সুযোগে বিগত সরকারের ৪ বছরে এটিএম বুথ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দেশী-বিদেশী ও নারী চক্রও জড়িত। এক নারী শুধু একটি এটিএম বুথ থেকেই ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ এক লাখ টাকা পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে। অদ্যাবধি সেই নারীর গ্রেফতার হয়নি।

সিআইডি ও ডিবি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের আমলের শেষ ৪ বছরে এক হাজার এটিএম বুথ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। যদিও বাস্তবে এর পরিমাণ আরো বেশী। এমন ঘটনার পর সিআইডি পুলিশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে থাকা আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড প্রতারক চক্রের সন্ধান করে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে গ্রেফতার হওয়াদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদও অব্যাহত আছে। গঠন করা হয়েছে ‘আন্তজার্তিক এটিএম বুথ মনিটরিং টিম’। এই টিমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এটিএম বুথ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অধিকাংশ ঘটনা ঘটেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। এ সংক্রান্ত ঘটনায় ইস্টার্ণ ব্যাংক, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল), সিটি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের তরফ থেকে মামলাও হয়েছে।

মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদের ব্যাংকের লোক পরিচয়ে এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসানোর নাম করে কার্ড রিডার বসিয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরি করে। এভাবে চক্রের সদস্যরা কমপক্ষে ৫ শতাধিক গ্রাহকের তথ্য চুরি করে টাকা তুলে নিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোন কোন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জড়িত। ইতোপুর্বে বিদেশী ৮ জনসহ ১৭ জন দেশী প্রতারক পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। যার মধ্যে সিটি ব্যাংকের মোকসেদ আলী মাকসুদ (৪৫), রেজাউল করিম শাহীন (৪০) ও রেফাত আহমেদ রনি (৪২) নামের তিন কর্মকর্তাও আছেন। চক্রটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মূদ্রায় প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, হাতঘড়িতে বিশেষ ডিভাইস বসিয়ে এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি হয়। সাধারণত সুপার বা চেইন শপগুলোতে এমন অপরাধ বেশী ঘটে। সম্প্রতি বিভিন্ন বিপনী বিতানে পজ মেশিনের ব্যবহার বাড়ায় প্রতারনার সম্ভবনাও বেড়েছে। দোকানে পজ মেশিনে এটিএম কার্ড প্রবেশ করানোর সময় দোকানী মেশিনের সঙ্গে কোন হাতঘড়ি বা মোবাইল কাছাকাছি রাখেন কিনা বা স্পর্শ করান কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ কার্ডের গোপন পিন নম্বর দেওয়ার সময় অতিশক্তিশালী চুম্বকীয় ডিভাইজ বা কার্ড রিডারের মাধ্যমে এটিএম কার্ডের সকল তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বা নকল কার্ড বানিয়ে সেই কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা সম্ভব। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি চেইন শপে এমন প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া শরিফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে এমন তথ্য। তার কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৪শ’ ক্লোন এটিএম কার্ড, একটি ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড রিডার ও রাইটার, ৩টি পজ মেশিন, তথ্য চুরির কাজে ব্যবহৃত ডিজিটাল হাতঘড়ি, ২টি মিনি কার্ড রিডার ডিভাইস, ১৪টি পাসপোর্ট, ৮টি মোবাইল ফোনসেট, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ১টি নেক্সাস ক্রেডিট কার্ড, ৩টি জাতীয় পরিচয়পত্র ও চেহারা পরিবর্তন করার কাজে ব্যবহৃত পরচুলাসহ নানা সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। শরিফুল ব্র্যাক, সিটি, ইবিএল, ইউসিবিএল ও ব্যাংক এশিয়ার এটিএম কার্ড জালিয়াতি করে বুথ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বিভিন্ন চেইন শপে পজ মেশিন দিত। সেই মেশিনে বসিয়ে দিত বিশেষ ডিভাইস। গ্রাহকরা পজ মেশিনে এটিএম কার্ড পাঞ্চ করা মাত্রই কার্ডের তথ্য চলে যেত সেই ডিভাইসে। পরে সেই তথ্য দিয়ে ক্লোন এটিএম কার্ড তৈরি করে বুথ থেকে টাকা তুলে নিত।

সুত্রটি বলছে, শরীফুল ইসলাম ডিপার্টমেন্টাল শপ স্বপ্নের বনানী শাখায় কাজ করতেন। সুবিধার জন্য বাম বা ডানহাতে বিশেষ ডিভাইসযুক্ত হাত ঘড়ি পরতেন। গ্রাহক যখন তার এটিএম কার্ডটি পজ মেশিনে দিতেন, তখন যেকোন কাজের উছিলায় তার হাতঘড়িটি পজ মেশিনের সঙ্গে স্পর্শ করাতেন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের এটিএম কার্ডের যাবতীয় তথ্য ব্লু টুথের মাধ্যমে হাতঘটিতে থাকা মিনি কার্ড রিডার ও স্ক্যানারে জমা হতো। পরে কাস্টমারের তথ্য দিয়ে ক্লোন এটিএম কার্ড বানিয়ে বুথ থেকে টাকা তুলে নিতেন।

সুত্রটি জানিয়েছে, বুথে টাকা তোলার সময় সিসি ক্যামেরায় যাতে তার আসল চেহারা না ওঠে, এজন্য তিনি কালো বিশেষ ধরণের সানগ্লাস ও পরচুলা ব্যবহার করতেন। স্বপ্ন নামের সুপার শপটিতে চাকরি করলেও তার মূল পেশা ছিল এটিএম কার্ড জালিয়াতি। জালিয়াতির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা কোটি কোটি টাকা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শরিফুল রাশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় তার রাশিয়ান রুমমেট ইভানোভিচের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার কৌশল শিখে। দেশে আসার পরপরই তিনি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করেন। দুই মামলায় তার দেড় বছরের সাজা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাজ করছেন। সর্বশেষ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের খিলগাঁওয়ের এটিএম বুথ থেকে কার্ড জালিয়াতি করে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তিনি। ওই ঘটনায় শরীফুল তার চক্রের বিদেশী সাত সদস্যসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন। যাদের প্রায় সবাই এখন কারাগারের বাইরে। এজন্য তাদের বিষয়ে নতুন করে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকিমশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে চক্রটি সক্রিয় হতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে সর্তক করা হয়েছে। পাশাপাশি এটিএম বুথের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকা স্থানান্তরের জন্য পুলিশের মানিএক্সর্ট টিমের সহায়তা নিতে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। প্রতিটি ব্যাংক ও এটিএম বুথের সামনে সংশ্লিষ্ট থানার মানি এস্কর্ট টিমের যোগাযোগ নম্বর দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে মানুষ সেবাটি নিতে পারে। তবে টাকার মালিককে অর্থ স্থানান্তর ও পুলিশ সদস্যদের বহনের জন্য নিজ উদ্যোগে যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসব বিষয়ে সিআইডি মিডিয়া বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বলছেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর অনেক দেশই এসব ইস্যুতে অনেক এগিয়ে গেছে। সিআইডিও এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিপিসি (সাইবার পুলিশ সেন্টার) নামে পৃথক উইং গঠন করেছে। সিপিসি চব্বিশ ঘন্টা সাইবার ওয়ার্ল্ড ও প্রযুক্তি নির্ভর মানি ট্রান্সফার বা এক্সচেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এসব বিষয়ে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
তিনি আরও জানান, ঈদকে সামনে রেখে এ ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীরা বেশী সক্রিয় হয়। কারণ এটিএম বুথে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। স্বাভাবিক কারণেই টাকা যেখানে যত বেশী, সেখানে রিক্সও তত বেশী। সব বিষয় মাথায় রেখেই সিআইডির সংশ্লিষ্ট টিমগুলো কাজ করে যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্যই সাবধানতার সঙ্গে এটিএম কার্ড ব্যবহার করা উচিত।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *