মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান
একটি বড় আত্মত্যাগের ঘটনা থেকেই ইসলামে কোরবানির সূচনা হয়। হজে অংশগ্রহণকারীদের কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক। কেননা হজের সময় কোরবানি করার পরই হাজিরা মাথার চুল কাটার সুযোগ পান। হজের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সামর্থ্যবান মুসলমানদের কোরবানি দেয়ার বিধান আছে। সামর্থ্যবান বলতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক ও স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলিম যদি নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে কোরবানি দেয়া তার জন্য ওয়াজিব বা আবশ্যক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রুপার বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে কেউ কমপক্ষে ৬৩ হাজার টাকার মালিক হলে কোরবানি তার ওপর ওয়াজিব। কোরবানি দেয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিস থেকে ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কোরবানি করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আবু হুরায়রা (রা.) ইবনে মাজাহ ও আহমদ।
সউদি আরবসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ একটি বড় উৎসব। এক সময় একে ‘বড় ঈদ’ বলা হতো। আবার ‘বকরির ঈদ’ও বলা হয়েছে। বকরি বা ছাগল এক সময় বেশি কোরবানি হতো সে-কারণে এ নামকরণ। প্রচলিত জমিদারি প্রথায় হিন্দু জমিদারদের বড় অংশই গরু কোরবানিতে অসম্মতি জানাতেন। এ কারণে ছাগল বা খাসি কোরবানি বেশি হতো। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এখন ছাগলের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক গরু কোরবানি হচ্ছে এবং কোরবানিকে ঘিরে বাংলাদেশে বিশাল অর্থনৈতিক কার্যক্রম গড়ে উঠেছে। দৈনিক যায়যায়দিনের ২৬ মে ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে এ বছর বাংলাদেশে কোরবানির অর্থনীতির আয়তন দেড় লাখ কোটি টাকা! যার মধ্যে কোরবানি পশু-বাবদ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্তু এত কিছুর পরও যে প্রশ্ন থেকেই যায় তা হলো- কোরবানির মাংস কি সবাই খেতে পারেন? আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে কতজন কোরবানি দিতে পারেন?
২.
দুঃখজনক হলেও বর্তমান সময়ে কোরবানির ঈদ অনেকের কাছেই পরিণত হয়েছে ‘হাম্বা উৎসব’-এ। কে কত টাকা বেশি দিয়ে কোরবানির পশু কিনলেন, কতগুলো পশু কিনলেন, পশুর সঙ্গে সেলফি তোলা, সোশাল মিডিয়ায় বিরামহীন পোস্ট দেয়া, নতুন রেফ্রিজারেটর কিনে কেজির পর কেজি মাংস প্যাকেটবন্দি করার যে লাগামহীন প্রতিযোগিতা চলে তার কোনোটাই কোরবানির শিক্ষা নয়। কোরবানির মূল শিক্ষাই হলো আত্মত্যাগ। আল কোরআনের সুরা হজের ৩৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কোরবানির মাংস বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ সচেতনতা।’
নিজের মনের ভেতর যত নেতিবাচকতা আছে তাকেও কোরবানি দিতে হয়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘মনের পশুরে কর জবাই।’ কোরবানির সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে আত্মত্যাগ ও সহমর্মিতা। কোরবানি করা পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি দুই ভাগই স্বজন ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করার রীতি আছে। কোরবানির মাংস সম্পর্কে আল কোরআনে সুরা হজের ২৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তা থেকে তোমরা খাও এবং অভাবী দরিদ্রদের খাওয়াও।’
কোরবানির মাংস নিজের কাছে জমিয়ে রাখার জন্য নয়। ইসলামের শুরুতে কোরবানির মাংস সংরক্ষণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন দিনের একটি বিধান থাকলেও পরে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) তা শিথিল করেন। তবে সেটা অবশ্যই বিপুল পরিমাণে নয়। সংরক্ষিত মাংস নিজে খাওয়ার পাশাপাশি সেখান থেকেও দান করার কথা তিনি বলেন।
নবীপত্নী হজরত আয়েশা (রা.) এক হাদিসে জানান, একবার তাদের বাড়িতে একটি ভেড়া জবাই করা হয়। তিনি মাংস দান করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। মহানবী (সা.) বাড়িতে ফিরে এসে তার কাছে জানতে চাইলেন, ‘ওটার কতটুকু বাকি আছে?’
হজরত আয়েশা (রা.) উত্তর দেন, ‘ভেড়ার গলার অংশ ছাড়া আর কিছুই নেই।’
মহানবী (সা.) তখন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘গলার অংশটুকু ছাড়া সবটাই আমাদের রইল।’ (তিরমিযী)
এর অর্থ যেটুকু দান করা হয়, সেটা দাতার কল্যাণেই কাজে লাগে।
সমাজে অনেকেই আছেন যারা আর্থিক অসঙ্গতির কারণে কোরবানি দিতে পারেন না, আবার কারো কাছে গিয়ে মাংস চাইতেও পারেন না। সামাজিক ও পারিবারিক দু’ভাবেই তাদের অবস্থা হয় সবচেয়ে নাজুক। পরিবারের সদস্যরা আশা করেন তাদের বাড়িতে মাংস রান্না হবে; কিন্তু বাড়ির হাড়ি শূন্য থাকে। এমন পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মিতা আরো বেশি দেখানো প্রয়োজন। আল কোরআনে সুরা হজের ৩৬ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘…এদের (পশু) কোরবানি করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। এরপর এরা যখন জমিনে লুটিয়ে পড়ে তখন তা থেকে (মাংস সংগ্রহ করে) তোমরা খাও এবং কেউ চাক, না চাক সবাইকে খাওয়াও।’
এ আয়াতে ‘কেউ চাক, না চাক সবাইকে খাওয়াও’ কথাটি থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায়, যারা চান না বা চাইতে পারেন না তাদেরও কোরবানির মাংস পৌঁছে দিতে হবে। এখানে শুধু মুসলমানদের কথা বলা হয়নি। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়ার মধ্যে যে যেমন মাংস খেতে অভ্যস্ত তাদের সেভাবে মাংস পৌঁছে দেয়া পবিত্র কোরআনের নির্দেশ।
এখন প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে বা অন্তত পরিবারপ্রতি কোরাবানির মাংস কি আদৌ পৌঁছানো সম্ভব?
৩.
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক হিসাবে জানা যায়, ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। ১৫ মে ছিল জাতি সংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৩ সালের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল তথ্য অনুসারে দেশের পরিবারগুলোয় গড় সদস্য সংখ্যা ৪ দশমিক ২। এ হিসাবে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশে পরিবার আছে ৪ কোটির কিছু বেশি।
১৯ জুন ২০২৪ তারিখের এক অফিশিয়াল চিঠিতে (স্মারক নাম্বার ৩৩.০১.০০০০.১১২.৮২.২৯৭.১০.২৬৯) বাংলাদেশ সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর, ২০২৪ সালে, সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮-টি পশু কোরবানি করা হয়। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৭-টি, ছাগল ও ভেড়া ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৮-টি এবং উটসহ অন্যান্য পশু ১ হাজার ২৭৩-টি।
কোরবানির পশুর সংখ্যা দেশের চাহিদা অনুসারে বেশি আছে। ২০২৪ সালে ১ কোটি ৪ লাখের কিছু বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি হলেও বাজারে কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ। চলতি বছরও সংখ্যাটি ১ কোটি ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে। তাই বলা যায়, দেশে কোরবানির পশুর কোনো অভাব নেই।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিএলআরআই-এর সূত্রে জানা যায়, পশুর মাংসের মাপ সংগ্রহে কারকাস ইয়িল্ড (Carcass Yield) নামে একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এতে জবাই করার পর পশুর চামড়া, নাড়িভুড়ি, মাথা, রক্ত, খুর ইত্যাদি বাদ দিয়ে মাংস, হাড় ও চর্বির কিছু অংশ ধরে হিসাব করা হয়। কারকাস ইয়িল্ড অনুসারে বাংলাদেশে দেশীয় জাতের গরুর জীবন্ত ওজনের গড়ে প্রায় শতকরা ৪৭ থেকে ৫২ ভাগ পর্যন্ত মাংস পাওয়া যায়। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, একটি ৩০০ কেজি ওজনের গরু থেকে প্রায় ১৪১ থেকে ১৫৬ কেজি পর্যন্ত মাংস পাওয়া যেতে পারে। আবার কারকাস ইয়িল্ড পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ছাগলের জীবন্ত ওজনের গড়ে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত মাংস পাওয়া যায়। যেমন- একটি ২০ কেজি ওজনের ছাগল থেকে প্রায় ৯-১০ কেজি মাংস পাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোরবানির গরুর গড় ওজন ১০০ থেকে ৩০০ কেজির মতো হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে মোট গড় ধরা যায় ১৫০ কেজি। কারকাস ইয়িল্ড পদ্ধতিতে ১৫০ কেজি ওজনের প্রতি গরু থেকে গড়ে ৭৫ কেজি মাংস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সাড়ে ৪৮ লাখ গরু-মহিষের ক্ষেত্রে হিসাব করা হলে মাংসের পরিমাণ কমপক্ষে ৩৬ কোটি ৩৭ লাখ কেজি। অন্যদিকে প্রতিটি ২০ কেজি ওজনের খাসি থেকে গড়ে ১০ কেজি মাংস পেলে ৫৫ লাখ ২৫ হাজার খাসি থেকে পাওয়া যাবে ৫ কোটি ৫২ লাখ কেজি মাংস। অন্যান্য বাদ দিয়ে গড়ে গরু, মহিষ, খাসি ও ভেড়া থেকে মোট মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৪১ কোটি ১৯ লাখ কেজির মতো। খুব সাধারণ হিসাবে বলা যায়, দেশের জনসংখ্যা যদি ২০ কোটিও হয়, তাহলেও কোরবানির ঈদে দেশের প্রতিটি মানুষেরই গড়ে দুই কেজি এবং পরিবারপ্রতি আট কেজি মাংস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অনেকেই জানতে চাইবেন, এই ৪ কোটি পরিবারের কাছে কীভাবে কোরবানির মাংস পৌঁছানো যাবে?
৪.
৪ কোটি পরিবারের মধ্যে একটি অংশ নিজেরাই কোরবানি করছেন। গরু-মহিষ কেউ এক নামে কোরবানি করেন, কেউ দুই থেকে সাত ভাগে কোরবানি করেন। খাসি বা ভেড়া একক নামে কোরবানি করা হয়। কেউ আবার একাই একাধিক পশু কোরবানি করেন। দেশে ১ কোটি পশু কোরবানি করায় সব মিলিয়ে গড়ে অন্তত দেড় কোটি পরিবারের কাছে কোরবানির মাংস সহজলভ্য বলা যেতে পারে। বাকি আড়াই কোটি পরিবারে কীভাবে কোরবানির মাংস পৌঁছাতে পারে? সবার কাছে মাংস পৌঁছানোটাই হলো ‘কোরবানির সামাজিকায়ন’।
এক সময় বাংলাদেশের গ্রামে এমনকি ঢাকাতেও পঞ্চায়েত বা ‘সমাজ’ নামে একটি শক্তিশালী সামাজিক কাঠামো কাজ করত। এলাকার প্রবীণ ও প্রভাবশালী মানুষ এটা পরিচালনা করতেন। তখন যারা কোরবানি করতেন তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংস ‘সমাজ’-এ জমা দিয়ে আসতেন। সেখান থেকে যারা কোরবানি দিয়েছেন এবং যারা দেননি- এমন প্রতিটি বাড়িতে মাংস পৌঁছে দেয়া হতো।
সমাজের সে পদ্ধতি কিছু জায়গায় থাকলেও তা সামাজিক প্রভাব ফেলার মতো অবস্থায় নেই। এখন ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত হয়ে অনেকে পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীর নাম পর্যন্ত জানেন না। কোরবানির যে অংশ সুবিধাবঞ্চিতদের দেয়ার কথা তা কেয়ারটেকার বা দারোয়ানকে দিয়ে রাখেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে সব সংগ্রহ করেন পেশাদার ভিক্ষুকরা, যারা মাংস নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন। ঢাকার খিলগাও রেলক্রসিংসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে কোরবানির মাংস বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে কোরবানি দেয়া হচ্ছে তা সফল হচ্ছে না। এর প্রতিকারে নানা উদ্যোগের মধ্যে চোখে পড়ছে। অনেক সংগঠনও এগিয়ে আসছে।
বর্তমান সময়ে কোরবানির সামাজিকায়নের পাইওনিয়ারের ভূমিকা পালন করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০০১ সালে বান্দরবানের লামায় দুটো পশু কোরবানি দিয়ে যে কার্যক্রমের শুরু হয় ২০১০ সালে, তা শেষ হয় ১৮৬টি পশু দিয়ে। ১০ বছরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামায় মোট ৬০০টি পশু কোরবানি করে, যা থেকে পাওয়া ৬০ হাজার কেজি মাংস ৩৫ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ২০১০ সালের পর সেখানে আর্থ-সামাজিক অবস্থা এত ভালো হয়, যারা মাংস নিতে আসতেন তাদের বড় অংশ নিজেরাই কোরবানি করার সক্ষমতা অর্জন করেন। এলাকাভিত্তিক সফলতার পর গত বছর, ২০২৪ সালে, পরীক্ষামূলকভাবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দেশ জুড়ে এ কার্যক্রম শুরু করে। গত বছর তারা ২১৫টি পশু কোরবানি করে ১৮,৯৬৭ কেজি মাংস ১০ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। ‘ঘরে ঘরে কল্যাণ, থাকুক বহমান’ থিম নিয়ে এ বছরও দেশ জুড়ে কোরবানির মাংস উপহার হিসেবে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভলান্টারি এ সংঘ। কোরবানির সামাজিকায়ন দেশের সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক- এটাই প্রত্যাশা কোয়ান্টামের।
বাংলাদেশে যে দেড় কোটি পরিবারের কাছে কোরবানির মাংস সহজলভ্য সে পরিবারগুলোর প্রতিটি মাত্র দুটো নতুন পরিবারের কাছে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিতে পারে। তা হলেই বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে কোরবানির মাংস উপহার হিসেবে পৌঁছানো সম্ভব। পৃথিবীতে বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যার প্রতিটি ঘরের চুলার হাড়িতেই তখন কোরবানির মাংস থাকবে।
মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান : সাংবাদিক ও গবেষক