Jaijaidin

চট্টগ্রামে কেএনএফের আরও ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ

Shah Alam Soulav
3 Min Read

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলি এলাকার একটি পোশাক কারখানা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও প্রায় ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করেছে পুলিশ।

এ নিয়ে তিন দফায় প্রায় ৪৬ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের পাহাড়তলি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল আজাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিনগত রাতে নগরীর পাহাড়তলি থানা এলাকার একটি পোশাক কারখানা থেকে প্রায় ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পোশাক কারখানার এমডি মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মতিউর রহমান পাহাড়তলি থানা হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি ¯পর্শকাতর হওয়ায় এর বেশি কোন কথা বলতে রাজি হননি ওসি। এমনকি এ বিষয়ে সিএমপির উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তাও বক্তব্য দিতে রাজী হননি।

এর আগে গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামে একটি পোশাক কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩০০টি কেএনএফর ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। এরা হলেন- সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। এদের মধ্যে সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অপর দু‘জন ইউনিফর্মগুলো তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।

এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেনের নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো তৈরির অর্ডার নেওয়া হয়েছিল। গত মার্চে এ অর্ডার কারখানায় এনেছিলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা মংহলাসিন মারমা ওরফে মং নামে একজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো তৈরির অর্ডার নেন। চলতি মে মাসে সেগুলো তাদের সরবরাহের কথা ছিল।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কুকি-চিন (কেএনএফ) পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার একটি নিষিদ্ধ সশস্ত্র জঙ্গি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। এর সদস্যরা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন থানার এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করে। বিভিন্ন মানুষজনের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে।

গ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পর¯পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও যোগসাজসে বাংলাদেশের অষন্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য প্রজাতন্ত্রের স¤পত্তির ক্ষতিসাধন করার প্রচেষ্টায় ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে রাষ্ট্রের স¤পত্তি বিনষ্ট, জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত থাকিতে বাধ্য করে, সন্ত্রাসী কার্য সংগঠিত করে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

এছাড়া গত ২৬ মে রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার নয়াহাট এলাকায় রিংভো অ্যাপারেলসের একটি গুদাম থেকে আরও ১১ হাজার ৭৮৫ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায়ও আরেকটি মামলা দায়ের করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। এসব ঘটনায় পুলিশ মুখ না খুললেও চট্টগ্রাম জুড়ে তোলপাড় চলছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *