যাযাদি ডেস্ক
সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম। তার সর্বশেষ কর্মস্থল বেনাপোল কাস্টমস হাউজ যশোর। চাকরিতে যোগদানের পূর্বে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে বিগত ২০১৭ সালে ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে কাস্টমসের চাকরিতে যোগ দেন এই মাইদুল। এছাড়াও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজের চার বোনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে প্রবেশ করিয়েছেন বলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এলাকায় প্রচলিত রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাকরি জীবনে বেশ কয়েকবার বিভাগীয় মামলার সম্মুখীন হয়েছেন এই মাইদুল ইসলাম। প্রতিবারই ছাত্রলীগ ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পাবার গল্পও নতুন নয়।
বিস্বস্ত সূত্র বলছে, কাস্টমস হাউজ ঢাকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মালামাল পাচারে সহযোগিতা করায় তার নামে বিভাগীয় মামলা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিনা অনুমতিতে কয়েকমাস অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময়ের জন্য তিনি কোনো প্রকার ছুটিও নেননি। এই অপরাধের জন্য তৎকালীন ট্রেনিং একাডেমির ডিজি বিভাগীয় মামলা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে তাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বদলী করা হয়।
ওই সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে তদবির করে সেই মামলা থেকেও অব্যাহতি পান তিনি।
সম্প্রতি গাজীপুরের জয়দেবপুরে জহিরুল ও আক্তার হোসেন নামের দুইজনকে গাড়ির চোরাই পার্টসসহ আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব চোরাই অবৈধ মালামাল রাজস্ব কর্মকর্তা মাইদুলের মাধ্যমেই তারা বেচাকেনা করে থাকে বলে পুলিশকে অবহিত করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় এ বিষয়ে পুলিশের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাইদুল টেবিলে বসে ফেনসিডিল সেবন করছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আইনের থোরাই তোয়াক্কা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তার ওই ফেনসিডিল সেবনের ভিডিওটি সংরক্ষিত আছে।
এসব অভিযোগ তথা অপকর্মের বিষয়ে জানতে ওই কর্মকর্তার একাধিক ব্যক্তিগত নাম্বারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।