নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারাগার থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বের হন জাকির খান।
এসময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
জাকির খানের মুক্তির ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন,জাকির খানের আলাদা বলয় থাকায় বর্তমানে যারা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন,তাদের অনেকেই হয়তো রাজনৈতিকভাবে অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়বেন।আবার অনেকে এটাও মনে করছেন,আওয়ামীলীগের শামীম ওসমান যেমনটা একক ক্ষমতায় নারায়ণগঞ্জকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন ঠিক তার মতোই ক্ষমতাধর হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজত্ব করবেন জাকির খান।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি আভিধানিক দল ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে জাকির খান গ্রেপ্তার হয়। ২০০৪ সাল থেকেই বিদেশে আত্মগোপনে ছিলেন জাকির খান।
নারায়ণগঞ্জে মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান।
জাকির খান মুক্তি পাবার পর একটি ছাঁদ খোলা গাড়ীতে দাঁড়িয়ে তার সমর্থকদের এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।সেই মামলায় আসামী হয়ে কারাগারে ছিলেন জাকির খান।