শফিক রেহমান
আজ একটি মিথ্যার শেষ হয়েছে। এখানে আমরা পৌছাতে পেরেছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব ফিরে পেয়েছি যাযাদিকে আপনাদের কাছে আবার পৌছে দিতে।
এই দুঃসহ সতের বছরের মধ্যে আট বছর আমাকে নির্বাসনেও নিশ্চুপ থাকতে হয়েছে। মনে রাখবেন মিথ্যার শাসন আমলে মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা, অথবা বলা ছিল খুবই কঠিন কাজ। মিথ্যা শাসন আমলে ভিন্নমত অবলম্বীদের ওপর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নির্যাতন হয়Ñ যার অনেকটা অপ্রকাশিত থেকে যায়।
এখানে পৌছাতে সময় লেগেছে সতের বছর। মিথ্যাবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসী, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনেতিক দলের ধারাবাহিক আন্দোলন এবং শেষ পর্যায়ে বিশেষত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার প্রচণ্ড অভুত্থানের ফলে বংশতান্ত্রিক শাসকদের অপসারণ সম্ভব হয়।
তাই অভিনন্দন, বিশেষত: তরুণ সমাজকে, অভিনন্দন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষত: বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমান এবং গোটা বিএনপি দলকে, সবাইকে যারা গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ড. মু. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে, বিচার বিভাগকে, আইন ও শৃঙ্খলা বাহিনীকে, যেসব আইনজীবী, সত্য অনুসন্ধানী আমলাদের, সাংবাদিক, লেখক, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনকে, যারা আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন।
আার অবশ্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার জীবন সঙ্গিনী তালেয়া রেহমান ও আমার সন্তান সুমিত রেহমানকে, যারা এই সংগ্রামে আমাকে সব সময় সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে।
মনে রাখবেন একটি পত্রিকা, একটি টিমওয়ার্কের ফসল। অনুরোধ করছি সেই ১৯৮৪-র মতো ঢাকা এবং বিশেষত: ঢাকার বাইরে সারা দেশের তরুণ লেখকদের লেখা আমরা চাই। নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিতে চাই, সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের দুটি স্লোগান ছিল।
এক:
দেশকে চিনুন
বিদেশকে জানুন।
সুতরাং যারা লিখতে চান, তাদের বিভিন্ন রচনা নিয়মিত পড়তে অনুরোধ করছি। আপনাদের এই জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে আপনার লেখায়।
দুই:
পাঠকই যার লেখক
লেখকই যার পাঠক।
এই স্লোগানে আমরা পৌছে গিয়েছিলাম সব নতুন লেখকদের কাছে। আপনারা, বিশেষত: যারা ঢাকার বাইরে আছেন, নারী-পুরুষ ও বয়স নির্বিশেষে লিখুন, লিখুন, লিখুন।
আমাদের কাছে লেখা পাঠানো ঠিকানা:
যাযযায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স
৪৪৬ ই+এফ+জি
তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকা
ঢাকা-১২০৮।