যাযাদি ডেস্ক
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রয়ায় ভারত পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’র জবাবে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি পাল্টা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩২ জন।
নিহতরা সবাই ভারতের পুঞ্চ জেলায় বসবাসকারী সাধারণ নাগরিক। এই অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছেই অবস্থিত। এর আগে পাকিস্তানি হামলায় ভারতে ৭ জন নিহতের খবর জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গুলো।
এদিকে এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ভারতের চালানো বিমান হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুঞ্চ ও মেন্ধার অঞ্চলে গোলাবর্ষণ ছিল সবচেয়ে তীব্র। বহু বাড়িঘর, দোকান এবং অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানায়, বুধবার রাতে টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। কেউ ঘুমোতে পারেনি। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যান। আমাদের স্থানীয় হাসপাতাল আহত মানুষে পরিপূর্ণ। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
এই সহিংসতা এমন এক সময়ে ঘটল যখন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সীমান্তে নতুন করে সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক এলাকা কার্যত জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে আজ বুধবার (৭ মে) এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় আহতের সংখ্যা ৪৬ জন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, তার (পাকিস্তান) দেশের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত।