Jaijaidin

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি

Shah Alam Soulav
11 Min Read

গাফফার খান চৌধুরী

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রিতে সক্রিয় একাধিক চক্র। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্তের সুযোগ নিচ্ছে চক্রগুলো। ক্রেতাকে অনলাইনে টিকিট কিনতে হয়। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে চক্রগুলো। যাতে করে সহজেই ক্রেতাদের নজরে আসে। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি ও ট্রেনে ছিনতাইয়ে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুত্রে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত সমন্বয়হীনতা, রেল বিভাগের দূর্বল মনিটরিং এবং রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। টিকিট বিক্রির দায়িত্ব লিজ নিয়েছে সহজ ডট কম নামের একটি অনলাইন কম্পানী। কম্পানীটি প্রতিটি টিকিট বিক্রি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে পায়। রেল বিভাগ ও কম্পানীটির অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন জনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে চক্রগুলো আগাম টিকিট কিনে রাখে। ট্রেনের চেকাররা অধিকাংশ সময়ই টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর মিলিয়ে দেখেন না। বিশেষ করে ঈদের সময় তো প্রশ্নই আসে না। এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছে চক্রের সদস্যরা।

সূত্রটি বলছে, কালোবাজারে টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ রেল সেবা অ্যাপসে ঢুকে টিকিট কিনতে পারেন না। আবেদন করা মাত্রই টিকিট নেই বলে মেসেজ আসে। অথচ কমলাপুর বা দেশের অন্যান্য রেল স্টেশনের আশপাশে খানিকটা অপেক্ষা করলেই বেশী দামে কালোবাজারে মিলে ট্রেনের টিকিট। এসব টিকিট কালোবাজারে দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশী দামে বিক্রি হয়। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করছে। মাত্র ৩০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। বাকি টিকিট বিক্রি হয় অফলাইন বা সরাসরি দালালদের কাছে। যেটি সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনভাবেই জানা সম্ভব না। যদিও টিকিট বুকিং কর্মকর্তাদের দাবি, অনেকেই আগ থেকেই আবেদন করে রাখায় অনলাইনে টিকিট ছাড়া মাত্রই শেষ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের রেল সেবা কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ফাইজুল করিম যায়যায়দিনকে বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ট্রেনের অনলাইনে টিকিট কিনতে হয়। টিকিটের হার্ড কপি কেনার প্রয়োজন নেই। স্মার্ট ফোনেই টিকিটের কপি চলে যায়। প্রতিদিন একজন ব্যক্তি ৪ বার আসা যাওয়ার জন্য মোট ৮টি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিট কেনার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র যাচাই করা আবশ্যক। তবে মোবাইল নম্বরের ক্ষেত্রে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে মোবাইল নম্বরটি বৈধ হওয়া বা যিনি টিকিট কিনবেন তার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত থাকা আবশ্যক।

কম্পানীটির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যায়যায়দিনকে বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে না। কারণ প্রযুক্তিগত সমন্বয়হীনতা এবং দূর্বল মনিটরিং। কালোবাজারে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ার সঙ্গে কম্পানী ও রেলওয়ের টিকিট বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। এদের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি চক্রের হাতে চলে যায়।
যারা টিকিট কালোবাজারে কিনেন, তারা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। কারণ নম্বরগুলো ভেরিফাই বা যাচাই করা হয় না। কালোবাজারি চক্র এই সুযোগটিকেই বেশী কাজে লাগায়। তারা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করে। চক্র যেসব মোবাইল নম্বরের বিপরীতে টিকিট কেনার জন্য আবেদন করে, তার একটি তালিকা দিয়ে দেয় রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের কাছে। কর্মকর্তারা তালিকায় থাকা মোবাইল নম্বরধারীদের নামে টিকিট ইস্যু করে দেন। কালোবাজারে টিকিট বিক্রির লাভের টাকা সিন্ডিকেট সদস্যরা পদ পদবী অনুযায়ী ভাগ করে নেয়।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আবেদন করলেও টিকিট ইস্যু করেন না কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এ নিয়ম নেই। তবে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধনের বিপরীতে টিকিট কেনার সুযোগ আছে। ভ্রমণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাদের নেই তাদের জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত অনুলিপি বহন করা বাধ্যতামূলক।

তিনি জানান, কাগজে কলমে নিময় থাকলেও যেসব শিশু বা কিশোর বা যুবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা তাদের পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আবেদন করে টিকিট কিনতে পারেন। আবার যাদের পিতা-মাতা নেই, তারা ভাই বা বোনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে আবেদন করে টিকিট সংগ্রহ করার সুযোগ আছে। আর যার বা যাদের আপনজন বলতে কেউই নেই, এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই, তাদের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করে টিকিট পাওয়া কঠিন। শুধুমাত্র বৈধ মোবাইল নম্বর দিয়ে আবেদন করলে টিকিট কেনা যায়। যদিও নিয়মানুয়ী টিকিট ক্রেতার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের কপি চাওয়া নিয়ম আছে। না থাকলে শেষ ভরসা বৈধ মোবাইল নম্বর।

ওই কর্মকর্তা বলছেন, ট্রেনের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে বহু ফাঁক ফোকর আছে। মূলত যার পরিচয়পত্রের বিপরীতে টিকিট ইস্যু করা হয়, নিয়মানুযায়ী তারই ভ্রমণ করার কথা। এমনকি তার নামে টিকিট কিনে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে, ভ্রমণকারী যার নামে টিকিট কিনেছেন, তিনি ওই নামের ব্যক্তি বলে বিবেচিত হবেন। নিতান্তই নিরুপায় না হলে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর কোন সময়ই রেল বা সহজ ডট কম কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে না। মূলত ট্রেনে যখন টিকিট চেক করা হয়, তখন চেকারকে অবশ্যই ভ্রমণকারীর সঙ্গে টিকিটে থাকা নাম জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার নিয়ম। তার ধারে কাছেও যান না চেকাররা। শুধুমাত্র কোন পুরুষ যদি নারীর নামে কেনা টিকিট দিয়ে ভ্রমণ করেন, তখন চেকাররা ভ্রমণকারী বা ভ্রমণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারী টিকিটের মূল মালিক তার আত্মীয়া বলে দাবি করেন। এক্ষেত্রে কিছুই করার থাকে না চেকারের।

এসব টিকিটের প্রায় শতভাগই কালোবাজারে কেনা টিকিট।

ওই কর্মকর্তার দাবি, এমন সুযোগে কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজেদের নামে, তার মা-বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তানদের নামে টিকিট কিনেন। সেইসব টিকিটই কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। কমলাপুর রেল বস্তিতে এমন অসংখ্য বাসিন্দা আছেন, যাদের কাজই হচ্ছে অন্যের হয়ে টাকার বিনিময়ে টিকিট কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। তাদের নামে কালোবাজারে টিকিট কেনা হয়। এমনকি তারা কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা ক্রেতাদের টার্গেট করে তাদের কাছে গিয়ে টিকিট বিক্রির প্রস্তাব দেয়। অনেকেই ঝামেলা এড়াতে বাড়তি দামে কালোবাজারে টিকিট কিনে নেন।

যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেনামে টিকিট নিয়ে কারো ভ্রমণের সুযোগ নেই। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। এক জনের টিকিটে আরেকজন ভ্রমণ করলে কোন দূর্ঘটনায় যাত্রী হতাহত হলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য অনেক সময় ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করে রাখতে হয়। এসব ক্ষেত্রে কারো লাশ অজ্ঞাত হিসেবে দাফন হওয়াও বিচিত্র না।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে দীর্ঘ ধরেই চেষ্টা চলছে। ইতোপূর্বে র‌্যাব ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে রেলের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত রেল বিভাগ ও সহজ ডট কমের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত। তারা আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। টিকিট কালোবাজারি চক্রের নেটওয়ার্ক সারাদেশে বিস্তৃত। ঢাকার কমলাপুর থেকে সারাদেশের ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্র নিয়ন্ত্রিত হয়। চক্রটির ঢাকার কমলাপুর, তেজগাঁও, বনানী ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনকেন্দ্রিক ৪টি সিন্ডিকেট কাজ করে। প্রতিটি সিন্ডিকেটে ৭ থেকে ৮ জন সদস্য কাজ করে। চক্রগুলো রেলস্টেশনের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ২০১৮ সাল থেকে টিকিট কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করছে। কমলাপুরকেন্দ্রিক চক্রটির ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা আছে।

বাংলাদেশ পুলিশের (রেলওয়ে) ঢাকা বিভাগের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি এবং ট্রেনে বসে থাকা যাত্রী বা চলন্ত ট্রেন থেকে ছিনতাইয়ে জড়িতদের গ্রেফতারে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। অভিযানে সবশেষ গত ২৭ মে রাতে ৮ মামলার আসামী পলাতক আসামী ও ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দূর্ধর্ষ ছিনতাইকারী লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে পাওয়া গেছে বিভিন্ন রুটের ১ হাজার ৭৯ টি টিকিট। এসব টিকিটের বিপরীতে আসন সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৫৯ টি। গ্রেফতারদের মধ্যে রেলওয়ে বিভাগের দুই জন টিকিট বুকিং সহকারীসহ ৪ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত ২৮টি মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে অবশ্যই প্রযুক্তিগত সমন্বয় প্রয়োজন। কারণ যে জাতীয় পরিচয়পত্র বা মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকিট কেনা হয়, তা যাচাইবাছাই করা হয় না। অন্যের পরিচয়পত্র বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে, কোন অসাধু ব্যক্তি ট্রেনের টিকিট কিনছেন কিনা, তার প্রযুক্তিগতভাবে যাচাই বাছাই করা হয় না। এমন দূর্বলতাকে কাজে লাগায় সিন্ডিকেট। পুরো চক্রের সঙ্গে ট্রেন সেবা পরিচালনাকারী সহজ ডট কম ও রেলওয়ে বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। ঈদে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির প্রবণতা বাড়ে। চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

গ্রেফতারদের ভাষ্যমতে, মূলত মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকিট কিনত তারা। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে রেলওয়ের টিকিট বিভাগ ও সহজ ডট কম নামের অনলাইনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত। তাদের যোগসাজশেই দীর্ঘ দিন ধরেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হয়ে আসছে। যে কারণে কোনভাবেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, সম্প্রতি টিকিট কালোবাজারি চক্র অনলাইনে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। যা পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে এসেছে। এজন্য অনলাইন ও সাইবার ওর্য়াল্ডে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন মঙ্গলবার ট্রেনের টিকিট কেনার অ্যাপস সহজ ডট কম অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভিআইপি কোটার জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সিট প্রযুক্তিগত সিস্টেমে ব্লক করে রাখে কম্পানীটি। এ ব্যাপারে কম্পানীর কাছে ব্যাখা চেয়েছে দুদক।

পরদিন ২৮ মে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দিনাজপুর জেলার রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি ছাড়া ভ’য়া ভাউচারে রেল বিভাগের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে।

ট্রেনের নানা অনিয়ম দূর্নীতি সর্ম্পকে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে বিভাগের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী যায়যায়দিনকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তা বা কোন বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে সে বিষয়ে তদন্ত হয়। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া রেলওয়ের নিজস্ব মনিটরিং ব্যবস্থা আছে। ঈদ উপলক্ষে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। গত বছর রেল বিভাগ নিজস্ব মনিটরিং বা গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রধরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা রেল বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। ঈদ এলেই অসাধু কর্মকর্তারা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *