বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো, বাংলাদেশের স্বার্থে আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের কল্যাণে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি কিন্তু বাকশালের কথা বলছি না, ইউনিটির ডাইভারসিটি থাকবে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়া” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব তৈরি করে ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যেটিকে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার স্তম্ভ বলা হয়। স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রবর্তক ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা না থাকলে সে দেশ গণতান্ত্রিক হতে পারে না। আমরা সংবাদ পত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আপনারা দেখছেন, ১৬ বছর সংবাদ পত্রের কি অবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। বাংলদেশে যে পরিবর্তন এসেছে, সে পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হতে হবে সংবাদ পত্র। এটি না পারলে সব ব্যর্থ হবে। সংস্কার, নির্বাচন গণতন্ত্র এগুলো কোনোটাই মিউচ্যুয়ালি এক্সক্লুসিভ নয়, স্টাটিক্স এর ভাষায় এরা পাশাপাশি থাকে, কেউ আগে কেউ পরে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ দেখিয়ে দিয়ে মঈন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে দিয়েছেন, আর আওয়ামী লীগ শব্দ উর্দু, এর অর্থ হলো জনগণের দল। জনগণের দল হয়েও আওয়ামী লীগ কি করেছে? তারা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে গিয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগ সাথে বিএনপির প্রভেদ।
যারা বলে বিএনপি এলে নাকি আবার স্বৈরতন্ত্র হবে তাদের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এ সব গল্প কাহিনী, গালগল্প দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমানো যাবে না। বিএনপি স্বৈরতন্ত্র করেছে এই উদাহরন কেউ দেখাতে পারবে না। যারা বিএনপির নামে মিস ইনফরমেশন, ডিস ইনফরমেশন , প্রোপাগান্ডা প্রচার করে কুৎসা রটাচ্ছেন তার শক্ত জবাব বিএনপিকে দিতে হবে। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।