Jaijaidin

বেবিচকের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারির বিলাসী জীবন

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

মো. শহীদুল্লাহ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচকের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার সমপর্যায়ের কর্মচারীদের যেখানে সংসার চালাতেই হিসসিম খেতে হয়, সেখানে শহীদুল্লাহ এখন শত কোটি টাকার মালিক। ঢাকা শহরে বিভিন্ন ভবনে শহীদুল্লাহর তিনটি ফ্ল্যাট থাকার তথ্য এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাওলা মোল্লা বাড়ী আল্লাহর দান নামক ভবনে শহীদুল্লাহর ১টি ফ্ল্যাট ও কাওলা কাসেম হোটেলের পাশে কাওলা প্যালেস বিল্ডিংয়ে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ব্যবসা।

বর্তমানে শহীদুল্লাহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকউরিটি সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যেখানে যান সেখানেই দুর্নীতির আখড়া বসান এই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। বেবিচকে চাকরি নেওয়ার পর শহীদুল্লাহ জানতে পারেন সেখানে প্রায় ১৪০০ (এক হাজার চারশত) জন কর্মচারী অস্থায়ী নিয়োগে রয়েছেন। তাদের চাকরি স্থায়ী করা ও সার্ভিস কাউন্টের জন্য মামলার খরচ বাবদ শহিদুল্লাহ ১২০০ (এক হাজার দুইশত) জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু অদ্যবধী মামলার তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় কর্মচারীরা মনে করেছেন উত্তোলিত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

এত অভিযোগ থাকার পরও কিভাবে বেবিচকে বহাল তবিয়তে রয়েছেন মো. শহীদুল্লাহ, এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্র। শহীদুল্লাহর বাবা মো. ওহিদুল্লাহ ছিলেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গাড়িচালক। এত দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শহীদুল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ছিলেন দাপটের সঙ্গে। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরও কিভাবে এমন বহাল রয়েছেন সেটি ভেবে অবাক বেবিচকের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আওয়ামী লীগের দুর্নীতির অংশীদার শহীদুল্লাহর বিচার দেখতে চান বেবিচকের ভুক্তভোগী ১২০০ কর্মচারী ও তাদের পরিবার।

এ বিষয়ে শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *