Jaijaidin

ভারত-পাকিস্তানকে থামতে বললেন ট্রাম্প

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই এবার থেমে যাক। পাকিস্তানের ভেতর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজে এই কথা বলেন ট্রাম্প।

আমি দুটি দেশকেই খুব ভালো করে চিনি। আমি চাইব, তারাই সমাধান করুক। আমি চাই তারা থেমে যাক, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই, ট্রাম্পের কথায়, ‘টিট ফর ট্যাট’ অর্থাৎ আঘাত আর প্রত্যাঘাত করেছে। তাই এবার তিনি আশা করেন যে দুই দেশই এবার থেমে যাবে। হোয়াইট হাউজ থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জানান যে প্রেসিডেন্ট এটাও বলেছেন যে, তিনি যে কোনো ধরনের সহায়তা করতেও রাজি আছেন।

নজর রাখছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাতের দিকে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তাছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন এবং ভারত ও পাকিস্তান যাতে ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব সহকারে সংঘাত মেটানোর’ চেষ্টা করে।

বিবিসি সংবাদদাতা টম বেটম্যান লিখছেন যে, ভারতের হামলার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল যে তারা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাদের সেই বক্তব্যে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি।

ভারত, পাকিস্তানে নেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত

এদিকে, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন, এমন দুই পদাধিকারীকে এখনো নিয়োগ দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো নেই। বলা হচ্ছে দুই দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতরা চরম উত্তেজনার সময়ে স্থানীয়ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম কার্যকালের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা টিম র‍্যোমার বিবিসিকে বলেন, দিল্লিতে বসে দুই দেশের মধ্যে নীরবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বা চুপচাপ মধ্যস্থতাও করতে পারতেন, যদি ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত থাকতেন।

ভারত আর পাকিস্তানে ‘স্থায়ী রাষ্ট্রদূত’ থাকাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন টিম র‍্যোমার। তার কথায়, ইসরায়েল, চীন আর দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা প্রথমে মনোনয়ন পান তারপর তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন মাত্রই একশ দিন পার করেছে।

সূত্র: বিবিসি

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *