Jaijaidin

রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমানের নীরব কূটনৈতিক যুদ্ধ

Shah Alam Soulav
9 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

 

অন্ধকার যখন ঘনিয়ে আসে, তখন কিছু আলো আপন স্বচ্ছতাতেই আলাদা হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের ত্রিশ বছরেরও অধিক সময়ের এক কূটনীতিক জীবনের পেশাগত বর্ণাঢ্য পরিক্রমা এ সত্যকে আজ বার বার মনে করিয়ে দেয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বিশেষ সহকারী হিসেবে রাষ্ট্রদূত রহমানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গৃহীত এ সরকারের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটি সময়োপযোগী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

অথচ, এ সিদ্ধান্তের পরপরই স্বার্থান্বেষী একটি মহল রাষ্ট্রদূত রহমানের রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণে পেশাগত অর্জনকে রাজনৈতিক আনুগত্যের চাদরে ঢেকে দেয়ার পায়তারা করছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে, তখন স্বার্থান্বেষী কোন মহল, কি উদ্দেশ্যে সে সব সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত করতে চাইছে?

শুরুতে দিল্লী এবং জেনেভায় কাজের পর রাষ্ট্রদূত রহমান ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত উৎকর্ষের জন্য পরবর্তীতে তাঁকে নেপালে সার্ক সচিবালয়ে পদায়ন করা হয় ব্যস, এতটুকুই। এরপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার তাঁকে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা অভিযোগে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। তাঁর পেশাগত সাফল্য, কূটনৈতিক অর্জন সবকিছুকেই বিএনপি-জামায়াতের দলীয় মোড়কে আবদ্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।

সার্ক সচিবালয়ে পরিচালক পদে থাকাকালীন সময়ে ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তিনি সার্ক উন্নয়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগে সাফল্যের অবদান রাখেন। সার্ক কৃষি কেন্দ্র, সার্ক ফুড ব্যাংক, সার্ক আঞ্চলিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।

২০০৮ এ তাঁকে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসাবে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে প্রেরণ করা হয়। তিনি পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক কঠিন সমস্যাসমূহ সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। পাকিস্তানে ১৬ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘ঢাকার পতনের’ দিন হিসেবে পালন করায় হত। এ কারণে কোন হাইকমিশনার কখনও পাকিস্তানে বিজয় দিবস পালন করার সাহস করেনি। ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে তিনি প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে বিজয় দিবস পালন করেন।

রাষ্ট্রদূত রহমান ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সার্ক { মাঝে মাঝে দক্ষিণ এশিয়া} ও বহুপাক্ষিক অর্থনীতি বিষয়ক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সার্ক উইং এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সরকার সার্কের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে অন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। তখন তিনি এ প্রচেষ্টাকে রূখে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন ।

বহুপাক্ষিক অর্থনীতি বিষয়ক মহাপরিচালক হিসেবে তিনি বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট বিষয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় ও ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানির চুক্তিতে দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে তিনি সফল হতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক উপদেষ্টাসহ অন্যদের প্রভাবে তাঁর সে সব বাধা ভেস্তে যায়।

২০১২ সালে হাইকমিশনার বানিয়ে তাঁকে দেশ থেকে সাধারণ মানের শ্রীলংকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাষ্ট্রদূত রহমান দমে যাওয়ার মানুষ ছিলেন না। তাঁর উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির জন্য শ্রীলংকার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু বেক্সিমকোর মতো ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ওষুধ কোম্পানির কারণে বাংলাদেশ এই সুবর্ণ সুযোগকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারে নি। শুধু তাই নয়, তাদের অনাগ্রহে রাষ্ট্রদূত রহমানের বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যেকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আর আলোর মুখ দেখেনি, যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারতো।

২০১৩ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক ভাবাদর্শের কর্মকর্তাদের তালিকা করা হয় দিল্লী হাই কমিশন থেকে তলিকার ৬ষ্ঠ নাম্বারে রাষ্ট্রদূত রহমানের নাম উঠে আসে।

২০১৪ সালে তাঁকে শ্রীলংকা থেকে সরিয়ে মিয়ানমারে পাঠানো হয়। এ সময় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে প্রচারণায় ব্যস্ত। রাষ্ট্রদূত রহমান রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের অধিবাসী হিসেবে প্রমাণ করে একটি গবেষণাপত্র প্রস্তুত করে প্রচার করেন। ফলে মিয়ানমারের সে প্রচেষ্টা ভণ্ডুল হয়।

আগস্ট ২০১৭ সহিংসতার সময় জীবন বাঁচাতে রাষ্ট্রদূত রহমান রাখাইনের অভ্যন্তরে নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চেষ্টা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতকরণে দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। কিন্তু তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী মায়ানমারের এক মন্ত্রীর সাথে দ্বি-পক্ষীয় একান্ত সভার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী একটি অনুচ্ছেদ চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করতে রাজী হন। জাতীয় স্বার্থে নাছোড়বান্দা এ কূটনীতিকের প্রবল আপত্তির কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে সেদিন সে অনুচ্ছেদ বাদ দিতে হয়েছিল। কূটণীতির ইতিহাসে বিরল। তাকে সরিয়ে দেয়ার একটি উদ্যোগ তখন নেয়া হয়েছিল ।

রাষ্ট্রদূত রহমান বরাবরই একজন ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’। তিনি বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ফলে চার বছরে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ২.৫ গুণ বৃদ্ধি হয়ে ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। তিনি বাংলাদেশকে অষ্ট্রেলিয়ার ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ’ করে তুলে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করেন।

তিনি রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের উদ্যোগ নেন। অন্যদিকে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন নিরাপত্তা, জীবিকা ও নাগরিকত্বের পথ নিশ্চিত না করেই তড়িঘড়ি করে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তাঁর মতদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ২০১৯ সালের দিকে ত্কে আবার বিএনপি জামাত ট্যাগ দেয়া হয় যাতে এই কর্মকর্তা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ পদ না পান।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত রহমান সবসময়ই দলীয় আনুগত্যের ঊর্দ্ধে উঠে দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট ছিলেন। তাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের একধিক মন্ত্রীর তদবির ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আওয়ামী লীগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ একজন ফার্স্ট সেক্রেটারিকে, কয়েক গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী মন্ত্রীর বাধার পরেও হাই কমিশন থেকে বের করে দেন। দলীয় রাজনীতিকে দূরে ঠেলে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনকে কমিউনিটির সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন।

২০২২ সালে তার দুই বছরের জুনিয়রদের নিউ ইয়র্ক, দিল্লী, লন্ডনের মত জায়গায় পদায়ন করা হয়। তাকে এসব পদে বিবেচনা না করার কারণ ছিল বিএনপি জামাত ট্যাগ। এমন কি এক পর্যায়ে তার জেনেভা পোস্টিং বাতিল করার জন্য সারসংক্ষেপ উত্থাপন করা হয়। যোগ্যতম কর্মকর্তা হলেও এসব পদে না পাঠিয়ে শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সিদ্ধান্ত হলে আদেশ জারী করা নিয়ে তালবাহানা করা শুরু হয়।

মানবাধিকার প্রশ্নে জাতীয় স্বার্থকে ভূলুণ্ঠিত করে তিনি সরকারের বানানো প্রচারণার দায়িত্ব পালন করবে কিনা তা নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বরাবরই দ্বিধান্বিত ছিল। ফলে আবারও বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সেই কালিমা লেপে দিয়ে তাঁর আদেশ বাতিলের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

জেনেভায় কর্মকালে তিনি জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আইএলওর মামলা সমাধান করে ইইউর বাজারে বাংলাদেশকে জিএসপি রক্ষা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ ও কোভিড-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যে উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত করাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন। এসবই ছিল জনগণের, অর্থনীতির শ্রমিকের স্বার্থে। অপরদিকে এইচআরসি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রেজিমের স্বার্থে ।

ফ্যাসিস্ট সরকারের বানানো মানবাধিকার বিষয়ক প্রচারণায় অত্যাধিক গুরুত্ব প্রদান না করার কারণে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন ২০২৩ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার ‘ইউনিভার্সল পিরিয়ডিক রিভিও’-এর সময় তাঁকে জোর করে ছুটিতে পাঠানোর মত চিন্তা ভাবনা শুরু করে। ২৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এবং নভেম্বরের প্রথম দিকে কিছু বাংলা পত্রিকায় তাঁকে সরকারবিরোধী কর্মকর্তা হিসাবেও চিত্রিত করা হয়েছিল।

২০২৪ সালের নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে অবসরে যাওয়া সব সচিব এবং রাষ্ট্রদূতদের মেয়াদ যখন ছয় মাস বাড়ানো হয়, তখন দৈবক্রমে রাষ্ট্রদূত রহমানকেও জেনেভায় কাজ চালিয়ে যেতে হয়। রাষ্ট্রদূত রহমান এটি গ্রহণ না করলে পুরাতন ট্যাগ জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অবৈধ নির্বাচনের পরে প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফেব্রুয়ারী মাসে ফ্যাসিস্ট সরকারের গলার কাঁটা রাষ্ট্রদূত রহমানকে ঢাকায় ফেরানোর আদেশ জারি করে। ৩১ মে ২০২৪ তারিখে রাষ্ট্রদূত রহমান চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে দক্ষ, নিষ্ঠাবান ও পেশাদার কূটনৈতিক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বিএনপি-জামায়াতপন্থী হিসেবে অভিহিত করে চাপে রাখা হয়। অথচ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যখন তাঁকে বিশেষ সহকারী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান করলেন, ঠিক তখনই একটি মহল তাঁকে শুধু চারদেশে রাষ্ট্রদূত থাকার কারণে দেখিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে অপপ্রচার শুরু করলো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়কে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উদোগকে কারা ভেস্তে দিতে চায়? কারা পদে পদে এ সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে চায়? কারা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের উদ্যোগকে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়ে প্রফেসর ইউনুসের হাতকে দূর্বল করতে তৎপর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যম মানের কিছু কর্মকর্তা, কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আর আওয়ামী লীগের লেজুরদের মধ্যে গড়ে উঠা এক অশুভ চক্র কি এতে জড়িত?
তারা আসলে কারা?
সত্য দীপ্তিমান সূর্যলোকের ঘন মেঘের অন্ধকারের আগল ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসবেই।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *