Jaijaidin

সিলেট সীমান্তবর্তী ভারতের তিন জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তিন জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস, পূর্ব খাসি হিলস ও পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলা প্রশাসন এই কারফিউ জারি করে।

ওই আদেশের একটি কপি সিলেটের জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১০ মে) সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একইসঙ্গে সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হকও কারফিউ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী ভারতের জৈন্তিয়া হিলস জেলা প্রশাসন রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি অনুলিপির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।’

সিলেট বিজিবির (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস, পূর্ব খাসি হিলস ও পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে সেদেশটির প্রশাসন। আমাদের সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছেও তারা সেই আদেশের একটি অনুলিপি পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরাও আমাদের সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে রাতে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান না হয়, সে বিষয়েও আমাদের টহল বাড়ানো হয়েছে।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জৈন্তিয়া হিলস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী শিবাংশ আরস্থির সই করা আদেশে বলা হয়, ‘পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এখনো সম্পূর্ণভাবে বেড়া দিয়ে ঘেরা নয়। এ কারণে এই অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, চোরাকারবারি ও অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশকারীরা রাতের আঁধারে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ৮ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ থাকবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে এই কারফিউ থাকবে। কারফিউয়ের সময়সীমা প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।’

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণরূপে বেড়াবিহীন হওয়ায় এটি চোরাচালানকারী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথে পরিণত হয়েছে। ফলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউয়ের আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।’

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘শিলং টাইমস’ও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, মেঘালয় সরকার ইস্ট খাসি হিলস, ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া হিলস ও ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে। সীমান্তবর্তী এই এলাকাগুলোতে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এ কারণে চোরাকারবারি, নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই ধরনের অবৈধ তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব কারণে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *