Jaijaidin

২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিলো চীন

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

চীনা সরকার ও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঐতিহাসিক সফরের ফলস্বরূপ এ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার (২৮ মার্চ) এর তথ্য জানান।

বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে এক্সক্লুসিভ চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করার পর এই প্রতিশ্রুতি এসেছে।

চীন মংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণের মাধ্যমে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টার চারদিনব্যাপী প্রথম দ্বিপাক্ষিক চীন সফর প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জয়েন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশের প্রতি চীনা বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার অনুরোধ করেন।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রেসিডেন্ট শি চীনা কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এই সফর চীনের অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার। এ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক।

শুক্রবার ড. ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বিশ্বের বৃহত্তম কিছু কোম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে উন্নত বস্ত্রশিল্প, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *