চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ের সৌন্দর্য বর্ধনে সকল বিলবোর্ড উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল চসিক। কিন্তু একদিন সময় চাওয়ায় উচ্ছেদ না করে ফিরে আসে চসিক। কিন্তু সময়ের দু‘দিন অতিবাহিত হলেও বিলবোর্ড কেউ সরায়নি। রাখেনি কথা।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলেও দেখা যায় জিইসির মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজা এবং আশপাশের সব বিলবোর্ড অক্ষত আছে। ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা। তিন বলেন, সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতি তাদের কাছ থেকে এক দিনের সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। নিজ উদ্যোগে বিলবোর্ড তারা সরিয়ে নেওয়ার কথা দিয়েছিলেন। যেহেতু তার কথা রাখেননি, অভিযান চালিয়ে সব ভেঙে ফেলা হবে।
তিনি জানান, গত রবিবার (১৮ মে) দুপুরে জিইসি এলাকায় সেন্ট্রাল প্লাজার ওপরে অবৈধ বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যান চসিক। এ সময় বিলবোর্ড ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় নেন। তারা ম্যাজিস্ট্রেটকে কথা দেন, নিজ উদ্যোগে সব বিলবোর্ড সরিয়ে নেবেন।
তাদের অনুরোধে অবৈধ বিলবোর্ড ও স্থাপনা উচ্ছেদে চসিকের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নেওয়া হলেও উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে চলে যান ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কথা কেউ রাখেনি। সরিয়ে নেয়নি বিলবোর্ড।
সূত্র জানায়, সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে গত ৩০ জানুয়ারি চসিকের সব বিলবোর্ড চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। ওই সভায় সিটি মেয়র বলেন, অনিয়মের কারণে চসিক বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেন্ট্রাল প্লাজার সাতটি বিলবোর্ড থেকে তারা বছরে ৫ কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু চসিক পাচ্ছে মাত্র ২১ লাখ টাকা। এরপর থেকে সব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডের চুক্তি বাতিল করা হয়। তখন থেকে শহরের সব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড অবৈধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের জুনে ফ্যাসিবাদ সমর্থিত পলাতক মেয়র রেজাউল করিম চসিকের রাজস্বের কথা চিন্তা না করে পছন্দের লোকদের সাথে বিলবোর্ড ইজারা চুক্তি করেন। এতে চসিক বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। ফলে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে চসিকের বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আগের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেছেন। যা এখনো প্রক্রিয়াধীন।