Jaijaidin

দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে, উৎসাহিত হচ্ছে ধর্ষক ও খুনি চক্র : সিপিবি

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

দেশে একের পর এক নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, মব সন্ত্রাস চলছে, কিন্তু সরকার নির্বিকার। উপরন্তু প্রতিবাদকারীদের ওপর চলছে দমন-নির্যাতন আর মামলা। সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।শুক্রবার (১৪ সার্চ) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সূত্রাপুর থানা কমিটির সভাপতি বিকাশ সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বি খানের সঞ্চালনায় সূত্রাপুরের লোহারপুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদ হোসেন খান, সিপিবি সূত্রাপুর থানা কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উদীচী গেন্ডারিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ওঙ্কার নাথ ঝলক, সিপিপি নেতা সাগর হোসেন সবুজ, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সূত্রাপুর থানা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন , বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সূত্রাপুর থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাম্য দাস প্রমুখ।

জাহিদ হোসেন খান বলেন, গত সাত মাসে দেশে নতুন সাড়ে তিন হাজার মানুষ নতুন করে কোটিপতি হয়েছে। এই টাকার উৎস কোথায়? দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, দখল ও সন্ত্রাস চলছে । লুটপাটের এই ধারা এখনই থামাতে হবে।

গোলাম রাব্বী খান বলেন, ‘বিচারহীনতার জন্য আজ আছিয়া যায় কবরে, আর ধর্ষক থাকে বেঁচে। রাষ্ট্র ধর্ষকদের নিরাপত্তা দেয়, মোল্লাতন্ত্র ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে হামলা করে। আমাদের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ গড়তে আসুন লড়াই করি।’

যুবনেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৭ মাসে দেশে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়নি। বরং এক বেক্সিমকোতে ৬০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছেন। তাহলে সরকার কী করছে? দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধগতিতে আমরা দিশেহারা।’

সভাপতির বক্তব্যে বিকাশ সাহা বলেন, ‘আছিয়ার মৃত্যু প্রমাণ করে- দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। এতে উৎসাহিত হচ্ছে ধর্ষক ও খুনি চক্র। শিশু আছিয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পরও ধর্ষণ নির্যাতন থেমে নেই। মব সন্ত্রাসে আতংকিত জনপথ। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নানা ঘটনা ঘটিয়ে, টালবাহানা করে নির্বাচন না পিছিয়ে ইউনূস সরকারের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে বিদায় নেয়া, নয়তো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। জনগণ এ অবস্থা বেশিদিন চলতে দিতে পারে না।’

অন্যরা বলেন, ‘আমরা চাই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। যে দেশে শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ সবাই মানুষ হিসেবে মর্যাদা পাবে ও নিরাপদে থাকবে। অপরাধীর বিচার হবে। আর কোনো আছিয়া মৃত্যুবরণ করবে না। আমরা চাই মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজ।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *